এই একটি জিনিস মধুর সাথে মিশিয়ে খান, ১ সপ্তাহেই পুরনো সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পাবেন
সর্দি বাড়লে অ্যালার্জিজনিত প্রতিক্রিয়া এবং সর্দি-কাশির মতো সমস্যা বাড়তে থাকে। শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত শীতে কাশি, সর্দি, গলা ব্যথা সহ নানা সমস্যা দেখা যায়। অল্পবয়সী শিশু এবং বয়স্ক ব্যক্তিদেরও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকে, যার কারণে এই মৌসুমি সমস্যাগুলি আরও গুরুতর হয়ে উঠতে পারে এবং কয়েক দিন ধরে চলতে পারে। সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পেতে মানুষ কাশির সিরাপ এবং অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ ব্যবহার করে। কিন্তু, এই ওষুধগুলির অত্যধিক ব্যবহারের অনেকগুলি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও রয়েছে এবং তাদের বারবার ব্যবহার অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের দিকে পরিচালিত করতে পারে।
অ্যান্টিবায়োটিক এবং ঠান্ডার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে মুক্তি পেতে, আপনি আয়ুর্বেদিক প্রতিকার এবং ঘরোয়া প্রতিকার ব্যবহার করতে পারেন। প্রাকৃতিক উপাদানের সাহায্যে প্রস্তুত করা প্রতিকারগুলি আপনাকে কেবল সর্দি এবং কাশি থেকে মুক্তি দেয় না বরং আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী করে। এই জাতীয় জিনিসগুলি হল মধু এবং আদা, যা খেলে আপনি কাশি এবং সর্দি থেকে মুক্তি পেতে পারেন। চলুন জেনে নিই এই রেসিপি তৈরির পদ্ধতি এবং সেবনের উপকারিতা সম্পর্কে।
সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পেতে কীভাবে আদা-মধু খাওয়া উচিত?
দীর্ঘস্থায়ী কাশি, গলা ব্যথা, বুকে কফ জমা হওয়া এবং সর্দির মতো সমস্যায় আপনি আদা ভুনা করে মধুর সাথে খেতে পারেন। এখানে পড়ুন আদা-মধু খাওয়ার পদ্ধতি-
এক টুকরো আদা নিয়ে কিছুক্ষণ গ্যাসে ভাজুন।
ভাজা আদার টুকরোটি কিছুক্ষণ ঠাণ্ডা করার জন্য রাখুন এবং তারপরে এর খোসা ছাড়িয়ে নিন।
এবার আদা পিষে নিন ।
আদার পেস্টে কিছু মধু (Honey and Ginger paste) মিশিয়ে এই মিশ্রণটি খান।
মধু এবং ভাজা আদা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা
আদার মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান পাওয়া যায় যা ফোলা কমায় এবং গলা ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়।
মধুতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান। আপনি গলা ব্যথা কমাতে এবং দীর্ঘস্থায়ী কাশি থেকে মুক্তি পেতে মধু খেতে পারেন।
এই মিশ্রণটি শুষ্ক কাশির সমস্যা কমাতেও কার্যকরী (Dry cough remedies)। এটি গলা ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়।
শীতে হজম শক্তি বাড়াতে আদা খাওয়া খুবই উপকারী প্রমাণিত হতে পারে।
শীতের মৌসুমে অ্যাসিডিটি, পেটে গ্যাস এবং বদহজমের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আদা ও মধু খেতে পারেন।
Labels:
health


No comments: