স্ত্রী কে খুনের দায়ে জেল খাটা স্বামী জানতে পেল, স্ত্রী জীবিত ও অন্যত্র সংসার পেতেছে
নালন্দা জেলার নাগারনৌসা থানার চৌরাসি গ্রাম থেকে একটি চমকপ্রদ ঘটনা সামনে এসেছে। যে স্ত্রীর স্বামীকে খুনের দায়ে জেলে যেতে হয়েছিল সেই স্ত্রী দিব্যি জীবিত আছেন । শুধু তাই নয়, দ্বিতীয়বার বিয়ে করে নতুন সংসারও করেছেন ওই মহিলা। অন্যদিকে যৌতুক ও হত্যা মামলায় লড়ছেন প্রথম স্বামী।
মহিলাকে জীবিত পাওয়া গেছে
এই মামলার আশ্চর্যজনক দিক হলো, তদন্তের সময় ওই মহিলাকে মৃত ভেবে স্বামী ও তার বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছিলেন পুলিশের একজন তদন্তকারী। সেই পুলিশই মৃত মহিলাকে পূর্ণিয়ার ধামদহ থেকে নিরাপদে উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করে।
নতুন সংসার
মহিলাটি আবার বিয়ে করেছেন এবং তার দ্বিতীয় স্বামীর থেকে পাঁচ বছরের একটি সন্তান রয়েছে। তথ্য অনুযায়ী, নাগরনৌসা থানার চৌরাসি গ্রামের যুগল পাসোয়ানের ছেলে কুন্দন কুমার ২০১৫ সালে পাটনা জেলার গৌরিচক থানার আন্দারি গ্রামের হরিচন্দ্র পাসোয়ানের মেয়ে সুধা কুমারীর সঙ্গে বিয়ে হয়।
মেয়ের বাবা জানায়, বিয়ের তিন বছর পর নিখোঁজ হয় সুধা।
এরপর ২০১৮ সালে এজলাসি আদালতে মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে যৌতুক হত্যা মামলা করেন তিনি।
আদালতের নির্দেশে, স্বামী কুন্দন কুমার, তার বাবা যুগল পাসোয়ান, মা, গ্রামের শ্রাবণ পাসওয়ান, চন্দেশ্বর পাসোয়ান, রঞ্জয় পাসওয়ান এবং টুনি দেবীর বিরুদ্ধে যৌতুকের ৩০৪ বি এবং ২০১/৩৪ ধারায় এফআইআর নম্বর ১২৩ /২০১৮ নাগরনৌসা থানায় চিহ্নিত করা হয়েছে।
যৌতুক মৃত্যুর ধারায় পুলিশ কোনো তদন্ত না করেই নিখোঁজ সুধা কুমারীর স্বামী কুন্দন কুমারকে গ্রেপ্তার করে এবং তাকে প্রায় চার মাস জেল খাটতে হয়।
একই দিনে তাকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য এজলাসি আদালতের দ্বিতীয় শ্রেণীর বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট নিশান্ত রঞ্জনের আদালতে হাজির করা হয়। যদিও আদালতের নির্দেশে পুলিশ সুধাকে তার দ্বিতীয় স্বামীর কাছে হস্তান্তর করেছে।
তদন্তে গাফিলতির কথা স্বীকার করেছেন থানার ওসি
নাগরনৌসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, যৌতুক হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সত্যতা দেখলে মনে হয়, এই মামলার তদন্তকারী গুরুতর অবহেলা করেছেন।
সুষ্ঠু তদন্তের অভাবে নিরপরাধ কুন্দন কুমার ও তার পরিবারকে মানসিক, আর্থিক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে, তবে এর ক্ষতিপূরণ কিভাবে হবে তা একমাত্র পুলিশই বলতে পারবে।
Labels:
News
No comments: