১০০ বছর বেঁচে থাকা এমন কিছু কঠিন নয়, বিশেষজ্ঞরা জানালেন সবচেয়ে কার্যকর তিনটি সমাধান
এই পৃথিবীতে খুব কমই এমন কেউ আছে যে বেশিদিন বাঁচতে চায় না, কিন্তু এটা কিভাবে সম্ভব হবে? গবেষণায় দেখা গেছে যে জীবনযাত্রা এবং খাদ্যাভ্যাসের ব্যাঘাতের কারণে, অনেক ধরণের দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি বাড়ছে, যা গড় আয়ুও হ্রাস করেছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে আপনি যদি দীর্ঘজীবী হতে চান এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগগুলি এড়াতে চান তবে আপনার খাদ্য এবং দৈনন্দিন রুটিন উন্নত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অন এজিং-এর করা গবেষণার ভিত্তিতে তারা বলেছে যে যদি খাদ্যাভ্যাসের কিছু উন্নতি করা হয় তবে এই কাজটি খুব কঠিন নয়। অনেক খাবারের অ্যান্টি-এজিং এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি প্রভাব রয়েছে যা আপনাকে কেবল রোগ থেকে রক্ষা করে না বরং আপনাকে দীর্ঘজীবী করতেও সাহায্য করে।
দীর্ঘ জীবন অর্জনে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ কী?
আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন রিপোর্ট করেছে যে স্বাস্থ্যকর খাওয়ার ধরণগুলির সাহায্যে সামগ্রিক মৃত্যুহার ২০% কমানো যেতে পারে। হৃদরোগ এবং ক্যান্সারের মতো গুরুতর রোগের কারণে মৃত্যুহার কমাতেও পুষ্টিকর খাবার রাখা খুবই সহায়ক হতে পারে। খাওয়ার ধরণ যেমন উদ্ভিদ-ভিত্তিক খাদ্য রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
আসুন জেনে নেওয়া যাক ৮০-১০০বছর সুস্থ ও বেঁচে থাকতে কোন ব্যবস্থা সহায়ক হতে পারে?
মটরশুটি এবং বিনস জাতীয় সবজির উপকারিতা
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত শিম জাতিয় খাওয়া আপনার জন্য খুবই উপকারী হতে পারে। মটরশুটি উদ্ভিদ-ভিত্তিক প্রোটিনের একটি ভাল উৎস এবং এছাড়াও ফাইবার সমৃদ্ধ। এটি অন্ত্রকে সুস্থ রাখার জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়। একইভাবে, ব্রকলি, ফুলকপি এবং বাঁধাকপির মতো ক্রুসিফেরাস সবজিতে প্রাকৃতিক যৌগ থাকে যা আপনার হৃদয়ের জন্য ভাল এবং এমনকি কিছু ধরণের ক্যান্সার থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে।
প্রচুর জল পান করতে থাকুন
আপনি যদি দীর্ঘ সময় বাঁচতে চান, তাহলে আপনার জন্য হাইড্রেশনের যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য প্রচুর জল পান করতে হবে। মিষ্টি পানীয় আপনার স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে, সেগুলি থেকে দূরে থাকুন। দিনে তিন থেকে চার লিটার জল পান করার অভ্যাস করা আপনার স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং দীর্ঘ জীবন অর্জনে সহায়ক হতে পারে।
চিনি ও লবণ খাওয়া কমিয়ে দিন
চিনি এবং লবণ উভয়ই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলে বিবেচিত হয় এবং ডায়াবেটিস এবং হার্ট সহ অনেক ধরনের তীব্র ও দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা যায় যে যেসব দেশে চিনি ও লবণের ব্যবহার কম, সেখানে মানুষ কম অসুস্থ হয় এবং বেশি দিন বাঁচে। আপনি যদি একটি সুস্থ এবং দীর্ঘ জীবন চান, তাহলে আপনার খাদ্যের এই উন্নতিগুলি করা আপনার জন্য উপকারী হতে পারে।
No comments: