রামদেব বাবা শীত কালে এই ফলটি রোজ খেতে বলেন, কিন্তু কেন?

 শীতকালে স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হবে।  শীত মৌসুমে দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কারণে অনেক রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।  এই মৌসুমে অনেক ধরনের ফল পাওয়া যায়, যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।  এর মধ্যে আতা বা সীতা ফলও রয়েছে। আতার উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রভাব রয়েছে, যা শীতকালে আমাদের শরীরকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে।  এই মৌসুমে প্রতিদিন আতা খেলে হজমশক্তি ভালো থাকে এবং মৌসুমি রোগ প্রতিরোধ হয়।

আকাশ রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬, পটাশিয়াম এবং ফাইবার, যা শরীরকে সুস্থ রাখে।  এই ফলটি খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয় এবং আমাদের শরীরকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।  আসুন আপনাদের বলি আতা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা কি এবং কোন রোগ থেকে শরীরকে রক্ষা করতে এটি কার্যকর।  আতার উপকারিতাও জানিয়েছেন যোগগুরু বাবা রামদেব।  বাবা রামদেব বলেন, আতা,  সীতাফল নামেও পরিচিত।  এই ফল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। আতা মহিলাদের জন্য আশীর্বাদের চেয়ে কম নয়।  এটি লিউকোরিয়ার মতো রোগ প্রতিরোধ করে।

আতার উপকারিতা

পরিপাকতন্ত্রের জন্য উপকারী: ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদহজম নিরাময় করে।

ভিটামিন ও মিনারেলের উৎস- এতে রয়েছে ভিটামিন সি, বি৬ এবং পটাসিয়াম, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে।

ত্বক ও চুলের জন্য ভালো- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য ত্বককে উজ্জ্বল করে।

এনার্জি বুস্টার- কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি শক্তি জোগায়।

হার্টের জন্য উপকারী- পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।


হজম

আতা হজম প্রক্রিয়ার জন্য ভালো।  কাস্টার্ড আপেলের ফাইবার অন্ত্রের গতিকে উন্নত করে এবং মল বের করতে সাহায্য করে।  আতায় রয়েছে আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি, কপারের মতো পুষ্টি উপাদান যা হজমের জন্য উপকারী। আতা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদহজমের সমস্যাও সেরে যায়।


হার্টের জন্য উপকারী

হার্ট সংক্রান্ত সমস্যায় আতা খুবই কার্যকরী।  কাস্টার্ড আপেলে রয়েছে পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।  পটাশিয়াম শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা ভারসাম্য রাখে।  একই সময়ে, ম্যাগনেসিয়াম হৃৎপিণ্ডের পেশীগুলির কার্যকারিতা উন্নত করে।


রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করবে

আতা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ।  কাস্টার্ড আপেল খাওয়া আমাদের শরীরকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে, কারণ এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে।  অনেক গবেষণা অনুসারে, ভিটামিন সি সেবন করলে সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।