Politics

[Politics][bleft]

West Bengal

[West Bengal][grids]

World

[World][bsummary]

National

[National][twocolumns]

বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার নিয়ে বিরোধীরা নীরব কেন ? সিএম যোগীর প্রশ্ন তুলেছে রাজনৈতিক তাপমাত্রা

 


শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন যে আজ বাংলাদেশে হিন্দু, বৌদ্ধ এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করা হচ্ছে।  তাদের সম্পদ লুটপাট করা হচ্ছে।  মা-বোনের সম্ভ্রম নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে।  যতদিন জিন্নাহর জিন থাকবে ততদিন এই ধরনের নৈরাজ্য চলতেই থাকবে।


কংগ্রেসের নাম না করে তিনি বলেন, যারা সবসময় দলিতদের ভোটব্যাঙ্ক বানিয়ে শোষণ করে আসছে, তারা বাংলাদেশের ঘটনায় নীরব।  সত্যকে মেনে নিতে পারছে না বলে তার মুখ থেকে একটি কথাও বের হচ্ছে না।  তাদের কথা বলার ক্ষমতা নেই।  এই লোকেরা শুধু সংবিধানের কপি দেখিয়ে ভান করছে।  বাবা সাহেবের মূল্যবোধের সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই।

'আজ কিছু মানুষ সমাজকে ঠকাচ্ছে'

বিধানসভা মার্গে অবস্থিত আম্বেদকর মহাসভা কমপ্লেক্সে বাবা সাহেব ডক্টর ভীমরাও আম্বেদকরের মৃত্যুবার্ষিকীতে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে আজ কিছু লোক সমাজের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করছে।  সে সমাজে মিথ্যাচার ছড়াচ্ছে।  হায়দ্রাবাদের নিজাম ও তার রাজাকারদের হাতে দলিত গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়ার সময়ও নীরব ছিলেন এই মানুষগুলো।

সেই সময়েও বাবা সাহেব আম্বেদকর একটি খোলা চিঠি লিখেছিলেন যে নিজামের রাজ্য হায়দ্রাবাদের সমস্ত দলিত, যাদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে, তারা যেন নিজামের রাজ্য ছেড়ে মহারাষ্ট্রে চলে যায়, কিন্তু তাদের ধর্ম ও বিশ্বাস পরিবর্তন না করে।  একই সময়ে, হায়দরাবাদের নিজামের লোকেরা এবং পাকিস্তানপ্রেমী জিন্নাহ বাবা সাহেবকে প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তিনি তাঁর আদর্শ থেকে পিছপা হননি।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ডঃ আম্বেদকর অবিরাম দলিত ও বঞ্চিতদের জন্য কাজ করেছেন।  যারা বাবা সাহেবের কথা শুনেছেন তারা আজ ভারতে নিরাপদ এবং সংরক্ষণের সুবিধা পাচ্ছেন।  আমাদের সরকার তাদের সবাইকে সম্মান করছে এবং তাদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে।


যোগেন্দ্র নাথ মন্ডলের কথায় যারা বিভ্রান্ত হয়েছিল তারাই আজ পাকিস্তান ও বাংলাদেশে নৃশংসতার শিকার হচ্ছে।  বাবা সাহেব ১৯৪৬-৪৭ সালেই জনসাধারণকে এ বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন।  তিনি বলেছিলেন, দেশকে বিভক্ত হতে দেবেন না।  এমনটা হলে শুরু হবে ওয়ান টু ওয়ান লড়াই, যা আজ আমাদের সামনে।  এর আগে হজরতগঞ্জে অবস্থিত বাবা সাহেবের মূর্তিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান মুখ্যমন্ত্রী।

সংবিধানের প্রস্তাবনাই এর আত্মা: যোগী

যোগী বলেছেন যে সংবিধানের প্রস্তাবনাই এর আত্মা।  কংগ্রেস সংবিধানের প্রস্তাবনার আত্মাকে অপসারণ করতে কাজ করেছে।  ১৯৭৫ সালে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করে বাবা সাহেবকে অপমান করা হয়।  আজও কংগ্রেস তাই করছে।  তিনি মূল সংবিধানের প্রস্তাবনা সংশোধন করে ওই শব্দটি সন্নিবেশ করেছিলেন।

এমতাবস্থায় যারা ভান করছে তাদের আসল চেহারা জনগণ ও দেশের সামনে আনা দরকার।  এই উপলক্ষে উপ-মুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক, মন্ত্রী অসীম অরুণ, তফসিলি জাতি উপজাতি কমিশনের চেয়ারম্যান বৈজনাথ রাওয়াত, বিধান পরিষদের সদস্য ড. লালজি প্রসাদ নির্মল, মেয়র সুষমা খার্কওয়াল, বিধায়ক ওপি শ্রীবাস্তব, রামচন্দ্র প্রধান, বিজেপি লখনউ মহানগর সভাপতি আনন্দ দ্বিবেদী প্রমুখ। উপস্থিত ছিল

No comments: