রাজস্থানের গর্ব!জুনাগড় দুর্গ
রাজস্থানের অপূর্ব সুন্দর জুনাগড় দুর্গটি আপনার মন কেড়ে নেবে।তা আজও মনে হয় যেন এটি অজেয়। এর সৌন্দর্য দেশ বিদেশেও প্রচলিত। এই প্রাসাদটি বাইরে থেকে যতটা সুন্দর, ততটা ভিতরে থেকেও সুন্দর। আপনি যখন বাইরে থেকে ঘামবেন, তখন প্রাসাদের অভ্যন্তরে আপনি শীতলতা অনুভব করবেন এবং এই প্রাসাদের উচ্চতায় পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে আপনি সুন্দর বাদলকে উপভোগ করবেন, একইভাবে আপনি দুর্দান্ত দর্শনগুলির সঙ্গে শীতল বাতাসের একটি মনোরম দৃশ্য পাবেন।
এই দুর্গে সর্বাধিক বিখ্যাত হল বাদল মহল। কথিত আছে যে মোঘল শাসকের আমলে আরেক শাসক এই দুর্গে আক্রমণ করেছিলেন এবং এই দুর্গটি দখলের চেষ্টা করেছিলেন। কথিত আছে যে মোগল শাসক কামরান জুনাগড়ের সিংহাসনে বসে ছিলেন, কিন্তু। একদিনের মধ্যে তাকে সিংহাসন ছাড়তে হয়েছিল। জানা যায় মরুভূমিতে বৃষ্টি হলে এখানে উৎসব উদযাপিত হয়। তবে এই উৎসবটি অনেক কম উদযাপিত হত, তাই রাজা তার প্রাসাদের ভিতরে বাদল মহল তৈরি করে বৃষ্টি অনুভব করতেন। এ ছাড়া জয়পুর, নাগৌড় দুর্গ সহ অন্যান্য দুর্গগুলিতে নির্মিত বাদল মহল এর উদাহরণ। তবে সবথেকে দর্শনীয় হ'ল জুনাগড় দুর্গ, যা বিশেষভাবে নির্মিত বাদল মহলটির জন্য খুব বিখ্যাত।
এই প্রাসাদের ভিতরে পৌঁছে মনে হয় যেন আমরা বাদলের কাছে এসেছি। এখানকার শীতল বাতাস সবার মনকে আকর্ষণ করে। আজও, প্রাসাদের রঙটি যেন সবেমাত্র শেষ হয়ে গেছে। এর চিত্রগুলি সকলকে মুগ্ধ করবে, এর চিত্রকলাগুলি রাধা কৃষ্ণের প্রেমের বর্ণনা দিয়েছে। এই দুর্গটিকে বিশ্বের সেরা হিসাবে বিবেচনা করা হয় এবং এই দুর্গটি সম্প্রতি আমেরিকার সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ ট্র্যাভেল এজেন্সি 'ট্রিপ অ্যাডভাইজার' কর্তৃক শ্রেষ্ঠত্ব -২০১- এর সনদ লাভ করেছে। যার কারণে কেবল রাজস্থানই নয়, ভারতের গর্বও বর্ধিত হয়েছিল। এর সাথে এই দুর্গটি অব্যয়ও পেয়েছে।
বিকাশের একটি বড় আকর্ষণ, জুনাগড়ের দুর্গ গর্বের প্রতীক। পৌরাণিক কাহিনী এই প্রাসাদের সঙ্গে জড়িত, বিদেশ থেকে পর্যটকরা এই প্রাসাদটি দেখতে আসেন। এই দুর্গটি লাল বেলেপাথরের তৈরি। এছাড়াও এর ভিতরে মার্বেলে কাজ করা হয়। প্রাসাদের বাইরে অনেক আকর্ষণীয় চিতাবাঘ, ফুলের প্রাসাদ, গঙ্গার প্রাসাদ, যাদুঘর ইত্যাদি রয়েছে দেখে হৃদয় খুশী হয়। এছাড়াও রয়েছে অনেক পুরানো রত্ন, অস্ত্র, বিরল চিত্র, যা পর্যটকদের বেশ আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
No comments: