Politics

[Politics][bleft]

West Bengal

[West Bengal][grids]

World

[World][bsummary]

National

[National][twocolumns]

স্ত্রীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়লে স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিককে নির্মম ভাবে হত্যা করে স্বামী


 এসপি আদিত্য ল্যাংঘে বৃহস্পতিবার 16 ডিসেম্বর চান্দৌলি জেলার বালুয়া থানা এলাকার বংশীপুর খালে দেবরাজপুরের বাসিন্দা মুন্নার মৃতদেহ পাওয়া যাওয়ার ঘটনাটি প্রকাশ করেছেন।  মুন্না যাদবকে খুন করেছে একই গ্রামের রাকেশ যাদব।  জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, মুন্না তার স্ত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়েন।  ভবিষ্যতে এমন না করার জন্য দুজনকে বুঝিয়ে বললেও কিন্তু তারা কথা শোনে না। বারবার দেখা করতে থাকে।  পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মুন্নাকে ডেকে প্রথমে মদ খাওয়ায়  এবং পরে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।



পুরো বিষয়টি আসলে কি

ধৃত রাকেশ যাদব পুলিশকে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, প্রায় এক মাস আগে মধ্যরাতে মৃত মুন্না যাদবকে তার স্ত্রীসহ আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়ে।  এরপর তিনি তার স্ত্রী এবং মুন্না যাদবকে বেশ কয়েকবার বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন।  স্ত্রীর দিকেও নজর রাখা শুরু করেন।  কয়েকদিন ঠিকই ছিল কিন্তু পরে কোনো না কোনো অজুহাতে মুন্না যাদব ও তার স্ত্রীর সম্পর্কের খবর পাওয়া যাচ্ছিল।  স্ত্রী ও মুন্নার এই কর্মকাণ্ড সমাজে পরিবারের বদনাম বয়ে আনছিল।  এমন পরিস্থিতিতে মুন্নাকে পথ থেকে সরানোর পরিকল্পনা করা হয়।


মেয়ের জন্মকে কেন্দ্র করে পার্টির অজুহাতে হত্যার পরিকল্পনা

কয়েকদিন আগে মুন্না যাদবের স্ত্রী পূজা চাহনিয়ার  হাসপাতালে একটি মেয়ের জন্ম দেন।  এখানে, রাকেশ মুন্নাকে চিরতরে পথ থেকে সরিয়ে দিতে বদ্ধপরিকর।  সঠিক সুযোগ পেয়ে রাকেশ মুন্নার সাথে দেখা করে তার সাথে কথা বলে, তাকে বাবা হওয়ার জন্য অভিনন্দন জানিয়ে সব বিষয়ের অবসানের কথা বলে।  ১৬ ডিসেম্বর মেয়ের জন্ম উপলক্ষে পার্টি করার অজুহাতে তাকে দোকানে ডেকে নিয়ে যায়।  এখানে আসার আগেই তিনি আলীনগর তিরাহা সাকলডিহা থেকে একটি ধারালো ছুরি কিনে বাইকের ট্রাঙ্কে রেখেছিলেন। 

মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ছুরি দিয়ে হামলা চালিয়েছে

সন্ধ্যা ৬টার দিকে মুন্না যাদব তার দোকানে পৌঁছান।  কিছুক্ষণ পর রাকেশ তার দোকান বন্ধ করে মুন্নাকে নিয়ে মদের দোকানে যায়।  যেখান থেকে ইংরেজী মদ ও গ্লাস ইত্যাদি নিয়ে দুজনেই বংশীপুর খাল কালভার্টে যায়।  মুন্না যাদবের পেগে আরও মদ পান করতে থাকে এবং নিজের পেগে নামমাত্র মদ যোগ করতে থাকে।  এরপর তিনি ট্রাঙ্ক থেকে একটি ধারালো ছুরি বের করে মাতাল মুন্নার পেটে কয়েকবার ছুরিকাঘাত করেন এবং গলায়ও বেশ কয়েকবার ছুরিকাঘাত করেন।  অতিরিক্ত বল প্রয়োগে ছুরির হাতল ভেঙে যায়।  মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর রাকেশ ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। 

No comments: